আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ৬ টি-
১. তালীম (ইসলামের সঠিক শিক্ষা)
২. তাজকিয়াহ (আত্মশুদ্ধি)
৩. তারবিয়াহ (প্রশিক্ষণ)
৪. দাওয়াহ (এক ইলাহের এবাদতের দিকে আহবান করা)
৫. খেদমাহ (জনসেবা) ও
৬. দ্বীন (আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে রাসূল (সাঃ)-এর ত্বরিকায় প্রতিষ্ঠা করা)
যার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নে- *. মুসলিম জাতীকে তাওহীদ ও ইত্তেবায়ে সুন্নাহ তথা সঠিক আক্বিদা শিক্ষা দেয়া এবং শিরক-বিদ‘আত, অন্যায় ও কুসংস্কার হতে সাবধান করা। *. সকল প্রকার শিরক, বিদআত, নিফাক, জুলম, ফিস্ক, হাসাদ, বুগ্দ, র্হিস, ত‘মা, রিয়া-অহংকার সহ সকল প্রকার আত্মার রোগ হতে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা। *. ইসলামের দাওয়াত মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া, মানুষকে মানুষের গোলামী বা তাকলীদ (অন্ধ অনুকরণ) হতে মুক্ত করে এক আল্লাহর ইবাদত তাওহীদ এর দিকে আহবান করা। *. মুসলিমদের অন্তর থেকে হীনমন্যতা দূর করে সৎ সাহস তৈরী করা। *. মুসলিম জাতীর অন্তরের গভীরে সঠিক আক্বিদাহর বীজরোপণ করা। *. ইসলামের শত্র“ এবং বিভিন্ন বাতিল ফিরকা সমূহের সাথে কুরআন সূন্নাহর অকাট্য দলিল দ্বারা মুকাবেলা করা। *. মুসলিম যুবকদের মাঝে ঈমানী চেতনা তৈরী করা। *. মুসলিম জাতীর জন্য যোগ্য নেতৃত্ব তৈরী করা। *. মুসলিমদেরকে সঠিক দ্বীন প্রচারের জন্য মুসলিম নিয়নত্রিত ত্বা-গুতমুক্ত মাদ্রাসা-মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহ প্রদান করা। *. দ্বীন কায়েমের জন্য সকল প্রকার কুফরী পদ্ধতি যথা- গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র-রাজতন্ত্র, পীরতন্ত্র-সূফীতন্ত্র-তাবলীগতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল তন্ত-মন্ত্র পরিহার করে রাসূল (সাঃ)-এর পদ্ধতি গ্রহণ করা। *. আন্তর্জাতিক ভাবে যারা দ্বীন কায়েমের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা ও তাদের সাহায্য-সহযোগীতা করা। *. পত্র-পত্রিকা, রেডিও, টিভি ও ইন্টারনেট এর মাধ্যমে গোটা পৃথিবীতে দ্বীনের দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়া। *. বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়-থানায় আমাদের শাখা তৈরী করা।
প্রিয় মুসলিম ভাই/বোন !
মরকাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের হাজার হাজার মাদ্রাসা-মসজিদের সাথে আরেকটি মাদ্রাসা মসজিদ যুক্ত করাই নয় বরং মারকাজ দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি এবং কুরআন-সূন্নাহরআলোকে তা বাস্তবায়ন করার সু-নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। তাই মারকাজ স্বীয় আদর্শের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই কোন প্রকার বাতিলের সামনে মাথা নত না করে সকল প্রকার বাধা-বিপত্তির মুকাবেলা করে তার অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলছে।